🔰 সাধু ভাষা কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য গুলো কী কী?
বাংলা ভাষার ইতিহাস
✅বাংলা গদ্য কি মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা সাধু ও চলিত।
বস্তুত ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের শিক্ষিত সংস্কৃত পণ্ডিত ব্যাক্তিত্বের হাতে বাংলা গদ্যের যে শাখাটি সাহিত্যের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে তাকে সাধু ভাষা বলা হয়ে থাকে।
✴️ সাধু শব্দের অর্থ সৎ বা অসৎ ব্যক্তি। বলাবাহুল্য যে শিক্ষিত মানুষের লেখ রীতির উপর ভিত্তি করে এই ভাষাটি গড়ে ওঠে।
সাধুভাষা শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন রাজা রামমোহন রায় তার বেদান্ত গ্রন্থ 1815 সালে।
,☀️ বৈশিষ্ট্য-
1. সাধু ভাষায় সংস্কৃত অনুসারী তৎসম শব্দ সমাস ও সন্ধি বদ্ধ পদ এর আলংকারিক শব্দের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। যেমন "এতদ্বি বিষয়ে"।
2. সাধু ভাষায় প্রাচীন অব্যয় এর পূর্ণরূপ দেখা যায় যেমন "নচেৎ"।
3. সাধু ভাষায় বাক্য রচনা ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট রীতি মেনে চলা হয় অর্থাৎ কর্তা কর্ম ক্রিয়া সঠিক ভাবে ব্যবহৃত হয়।
4. এই ভাষায় যৌগিক ক্রিয়া পদের ব্যবহার দেখা যায় বেশি ।যেমন আহার করা , উপনয়ন করা।
5. এই ভাষায় আঞ্চলিক শব্দ ও প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহার কম দেখা যায়।
6. সাধু ভাষায় সর্বনাম এর পূর্ণরূপ এর ব্যবহার দেখা যায় ।যেমন তাহাদের আমাদিগের যাহাদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন